ই-কমার্স-এ নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনে কাজ করবে অগ্রগামী

ই-কমার্স

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দেশের ই-কমার্স খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার কথা বলেছেন অগ্রগামী প্যানেলের প্রার্থীরা।

সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত ‘উইমেন অন্টেপ্রেনার্স- এক্সপ্যান্ডিং হরিজনস অ্যান্ড মুভিং ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ই-কমার্স খাতে জড়িত নারী উদ্যোক্তা, টেক লিডার, সফল নারী ব্যক্তিত্ব এবং অগ্রগামী প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল প্রধান শমী কায়সার ও নতুন প্রার্থী আম্বারীন রেজার সঞ্চালনায়  নারী উদ্যোক্তারা ই-কমার্সে তাদের যাত্রা এবং ইক্যাব নিয়ে প্রত্যাশার কথা বলেন। এরপর উদ্যোক্তা তানিয়া ওয়াহাব, স্কুটি উদ্যোক্তা জেরিন মারজান খান, আইন উপদেষ্টা টিউলিপ বক্তব্য রাখেন।  এসময় তারা অনলাইন কেনাকাটায় মেয়েদের সাইবার হ্যারাজমেন্ট কমাতে ভোক্তাদের মধ্যে ডিজিটাল স্বাক্ষরতা এবং অনলাইন ব্যবসায়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ই-ক্যাবের চলমান কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশংসা করেন।  

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা ই-কমার্সে নারীদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি তাদের ই-কমার্স বিজনেস লিডার হওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেন, নারীরা উদ্যোক্তা হিসেবে যেসব প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন, সেগুলো সমাধানের জন্য কাজ করা হবে। হোমশেফ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মূলধারার ই-কমার্সে যুক্ত করার জন্য কাজ করবে অগ্রগামী প্যানেল। শুধু অংশগ্রহণ নয়, ই-কমার্সে নারীরা যাতে বিজনেস লিডার হয় সেজন্য তাদের দক্ষতা উন্নয়নের উপর জোর দেয়া হবে।

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা

অনুষ্ঠানে শমী কায়সার বলেন, কোভিড মহামারীতে আমরা নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক সহযোগিতায় আইসিটি খাতের সব সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে যখন সাবাই কাজ হারাচ্ছিলো তখন ২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে ই-ক্যাব। অনভিপ্রেত স্ক্যাম রোধ করতে আমরা এক বছর আগেই লন্ডনের আদলে একটি ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে একটি কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সেল গঠনের উদ্যোগ নেই। আশা করছি, আগামী ২ মাসের মধ্যে এটা পূর্ণাঙ্গভাবে সক্রিয় হবে।

কোভিডে ইক্যাবের উদ্যোগে বিভিন্ন ডিজিটাল পলিসির জন্য ই-কমার্স এর প্রবৃদ্ধি হয়েছে উল্লেখ করে নারী উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর প্রতিষ্ঠাতা নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, নারীদের জন্য ই-কমার্স বেশ ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম। সংসার সামলাতে গিয়ে অনেক নারীই তাদের ক্যারিয়ার ছেড়ে দিয়েছেন। তারা যাতে ঘরে বসেই স্বাবলম্বী হয়, এজন্য ই-কমার্স ভালো একটা

প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। তাই তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে এফ-কমার্সে অংশগ্রহণে কাজ করেছি, এখন তাদের ই-কমার্সে আনতে চাই।

জেন্ডার বেজড ডিজিটাল ডিভাইড এর কথা তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক লাফিফা জামাল বলেন, কোভিডে ই-কমার্স পেনিট্রেশন বেড়েছে। ই-কমার্স, এফ কমার্সে গ্রামের নারীরাও উদ্যোক্তা হয়েছেন। তবে গবেষণা বলছে, গ্রামের অনেক নারী উদ্যোক্তার নিজস্ব ডিজিটাল ডিভাইস নেই। এরকম জেন্ডার বেজড ডিজিটাল ডিভাইড রয়েছে। আমরা এগুলো কমাতে ইক্যাব থেকে কাজ করতে পারি।   

অনুষ্ঠানে সহজ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির, বিক্রয় ডটকমের সিইও ঈশিতা শারমিন, ইনভেস্টমেন্ট এক্সপার্ট সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের এমডি মনিজা চৌধুরী, জেসিআই বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কামাল অ্যাসোসিয়েটস এর ডিরেক্টর সারাহ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী  নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা বলেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্যানেলের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরা হলেন শমী কায়সার, আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, মোহাম্মাদ সাহাব উদ্দিন শিপন, নাসিমা আক্তার নিশা, আসিফ আহনাফ, আম্বারীন রেজা, মোহাম্মাদ সাইদুর রহমান, শাহরিয়ার হাসান এবং রুহুল কুদ্দুস ছোটন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন