অ্যাপসফ্লায়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে শীষ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় শেয়ারইট

ভারতীয় উপমহাদেশে ৪টি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করছে প্রতিষ্ঠানটি

টেকভিশন২৪ ডেস্ক: প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে, সম্প্রতি প্রকাশিত অ্যাপসফ্লায়ার র‌্যাঙ্কিংয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরি ও অঞ্চলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান শেয়ারইট গ্রুপের ফাইল শেয়ারিং, কন্টেন্ট স্ট্রিমিং এবং গেমিং অ্যাপ শেয়ারইট। 

আইএপি সূচকের ভলিউম র‌্যাঙ্কিংয়ে সকল ক্যাটাগরিতে গুগল, ফেসবুক এবং টিকটকের পরে বৈশ্বিকভাবে #৪ নম্বরে অবস্থানে রয়েছে শেয়ারইট। এটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে অধিক রিটেনশন এবং আইএপি ভলিউমের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। উত্তর আমেরিকায় #১ নম্বরে ও লাতিন আমেরিকায় #২ নম্বরে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পাবলিশার হিসেবে শেয়ারইট রয়েছে।

মার্কেটিং মেজারমেন্ট ও এক্সপেরিয়েন্স প্ল্যাটফর্ম অ্যাপসফ্লায়ার, সম্প্রতি, এর পারফর্মেন্স ইনডেক্সের ১৩ তম সংস্করণে এই র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। পরীক্ষিতভাবে ১৭ হাজার অ্যাপকে মোট ৩৩ বিলিয়ন অ্যাপ ইন্সটল করে ৫৫ বিলিয়ন বার ওপেনের ভিত্তিতে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশে শেয়ারইট অ্যাপটি ধারাবাহিক সাফল্য অর্জন করছে। অ্যাপটি ব্র্যান্ডের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করছে রিটেনশন রেটের মাধ্যমে এবং পেইং ইউজারদের বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের রাজস্বের প্রবৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে।

অ্যাপটি ভালো স্কোর করার মাধ্যমে এই অঞ্চলে কমপক্ষে ৪টি ক্যাটাগরিতে মিডিয়া পাবলিশারের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। আইএপি ইনডেক্স ভলিউম র‌্যাঙ্কিংয়ে ফাইন্যান্সে #৩ এবং লাইফ অ্যান্ড কালচারে #৪ এ অবস্থান করছে শেয়ারইট। ভারতীয় উপমহাদেশে রিটেনশন পাওয়ার ইনডেক্সে ইউটিলিটি ক্যাটাগরিতে #৩, ফাইন্যান্স ক্যাটাগরিতে #৪ এবং সোশ্যাল ক্যাটাগরিতে #৫ এ অবস্থান করছে শেয়ারইট।

এ অঞ্চলে সকল ক্যাটাগরিতে ব্র্যান্ডগুলো র প্রবৃদ্ধিতে এবং মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম প্রদানের ক্ষেত্রে শেয়ারইট যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে, তা এই র‌্যাঙ্কিংয়ের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। শেয়ারইট গ্রুপের পার্টনার ও গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট কারাম মালহোত্রা বলেন, “ফাইন্যান্স ও ই-কমার্স ক্যাটাগরি সংশ্লিষ্ট ব্র্যান্ডের ইন-অ্যাপ বিক্রয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া পাবলিশার হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভবিষ্যতে আমরা আরও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করবো।”

ফাইল স্থানান্তর এবং ভিডিও, অ্যাপ, ছবি ও অন্যান্য কনটেন্ট শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় শেয়ারইট। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অর্থপূর্ণভাবে ব্র্যান্ডিং করতে পারে, এজন্য তারা নানাবিধ কার্যক্রম চালু করেছে এবং শেয়ারইটকে বহুমুখী ডিজিটাল কনটেন্ট সল্যুশন প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দুই হাজারের অধিক এইচটিএমএল৫ গেম, গেমিং ভিডিও’র বিশাল সংগ্রহ এবং জনপ্রিয় গেমগুলো ডাউনলোডের অপশনের সাথে শেয়ারইট’র গেমিং সেন্টার মোবাইল গেমের অন্যতম বৃহৎ ক্ষেত্র। ব্যবহারকারীরা এতে তাদের পছন্দ অনুসারে কাস্টমাইজ করা গেম খেলতে পারবেন এবং ডেটা ব্যবহার না করে জনপ্রিয় গেম ডাউনলোড ও শেয়ার করতে পারবেন।

উত্তর দিন

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন