টেকভিশন২৪ ডেস্ক রিপোর্ট : রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো “রুয়েট সাইবার ফেস্ট ২০২৪”। দুই দিনব্যাপী (৫-৬ ডিসেম্বর) এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনে আগ্রহী করে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
“এডভান্স সাইবার সিকিউরিটি এওয়ারনেস এন্ড ইনোভেশন” শিরোনামে আয়োজিত এই ফেস্টে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সাইবার বুলিং প্রতিরোধ, ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, এবং সাইবার সিকিউরিটির নানা দিক। আয়োজকেরা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সাইবার জগতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
রুয়েট সাইবার সিকিউরিটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই ফেস্টের টাইটেল স্পন্সর ছিল স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড। সাইবার সিকিউরিটি পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ক্যাসপারস্কি।
স্মার্ট টেকনোলজিস রুয়েট ক্যাম্পাসে একটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে, যেখানে তারা নেটিস ব্র্যান্ডের নেটওয়ার্কিং পণ্য, ক্যাসপারস্কির সিকিউরিটি সফটওয়্যার, স্মার্ট ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ এবং কোরসেয়ার ব্র্যান্ডের এক্সেসরিজ প্রদর্শন করে। দর্শনার্থীরা পণ্যগুলোর বৈশিষ্ট্য যাচাই এবং প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের উপায় শিখিয়েছেন। রুয়েট সাইবার সিকিউরিটি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনী চিন্তার প্রসারে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।”
স্মার্ট টেকনোলজিসের প্যাভিলিয়নে তাদের নতুন ল্যাপটপ বিশেষ আকর্ষণ ছিল, যার মূল্য শুরু ২৮ হাজার টাকা। এতে রয়েছে সলিড স্টেট ড্রাইভ (SSD) এবং দুই বছরের আন্তর্জাতিক বিক্রয়োত্তর সেবা।
স্মার্ট টেকনোলজিসের হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, “ফেস্টে আমাদের পণ্যগুলোর প্রতি শিক্ষার্থীদের দারুণ আগ্রহ ছিল। বিশেষত নতুন ল্যাপটপ ও অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও উদ্ভাবনী পণ্য নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছি।”
এই আয়োজন প্রযুক্তি এবং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি উদ্ভাবনের সুযোগ তৈরি করেছে। আয়োজকরা মনে করছেন, সাইবার সিকিউরিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ানোয় এই ফেস্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। রুয়েট আবারও প্রমাণ করেছে, প্রযুক্তি ও সচেতনতার বিকাশে তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।